যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তাঁর সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এর আগে যমুনা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমান জাতীয় সংসদের একজন সদস্য এবং ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার প্রকাশক।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, শিল্পের অবকাঠামো বিনির্মাণে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অসামান্য অবদান রেখে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, মানবাধিকার এবং শিশু ও নারী অধিকার সংরক্ষণের নানান উদ্যোগে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন অনেক আগে থেকেই। দেশের উৎপাদন খাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তাঁর ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০১ সালে সিআইপির মর্যাদা দেয়।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে ঢাকা জেলা জজ কোর্ট, ঢাকা সিএমএম কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে আইন পেশাতেও জড়িত আছেন।
যমুনা শিল্প পরিবার দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে ১৯৭৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শিল্প, উৎপাদন ও সেবাখাতে বিশেষ করে- বস্ত্রখাতের টেক্সটাইলের স্পিনিং, নিটিং, ডায়িং, হাইটেক ফ্রেবিক্স, টয়লেট্রিজ, ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, বেভারেজ, যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মল, হোটেল, বিনোদন পার্ক, অটোমোবাইলস, কেমিক্যাল, লেদার, রিয়েল এস্টেট সেক্টর, হাউজিং, টায়ার অ্যান্ড রাবার, প্রিন্টিং ও পাবলিশিং (দৈনিক যুগান্তর), ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া (যমুনা টিভি) ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দেশের আর্থ-সামাজিক ও শিল্প খাতে বিশাল অবদান রেখে এসেছে। বর্তমানে যমুনা গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের নতুন নেতৃত্বে যমুনা গ্রুপ প্রয়াত চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের অসমাপ্ত স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদ মনে করে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম এ বছরের ১৩ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান।